1. live@www.sangbadeisamay.com : news online : news online
  2. info@www.sangbadeisamay.com : সংবাদ এই সময় :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ডাক্তার সংকট। খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবির ৫ জন শিক্ষার্থী সহ ৬ জন এখনও উদ্ধার হয়নি, সেনা অভিযান চলছে আপনি আপনি আসিবে যদি থাকে নসিবে, জাতির আত্মপরিচয়ে পহেলা বৈশাখ এক উজ্জ্বল উপাদান: তারেক রহমান পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা দেশবাসীকে প্রধান উপদেষ্টার খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব শুরু সপ্তাহব্যাপী মারমাদের প্রাণের উৎসব ‘সাংগ্রাই’ শুরু চাঁটগাইয়া বিয়ে মানেই কি মহা ধুমধামে আয়োজন? না আর কিছু বাংলাদেশের বড় কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার রেকর্ড

সাজেক ভ্যালির পাহাড়ের চূড়ায় নান্দনিক মসজিদ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুর রহমান সুজন

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালির রুইলুইপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন দারুস সালাম জামে মসজিদ।
যেখানে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো দিগস্ত বিস্তৃত পাহাড়ের সারি, রোদের সঙ্গে শুভ্র মেঘদলের নিত্য লুকোচুরি খেলা। সেখানে পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসে আজানের সুমধুর ধ্বনি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে সবুজ পল্লব আর নিসর্গের বুক চিড়ে সপ্রতিভ দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ। বাংলাদেশে যত মসজিদ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু স্থানে নির্মিত এ মসজিদের নাম ‘দারুস সালাম জামে মসজিদ’। যার অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালির রুইলুইপাড়ায়।

সেনাবাহিনীর দান করা এক একর ভূমির ওপর নির্মিত এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। চারতলা বিশিষ্ট ভিতের ওপর দণ্ডায়মান দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটির উচ্চতা ২২ ফুট। এতে রয়েছে চারটি গম্বুজ ও একটি সুউচ্চ মিনার। মসজিদটির পূর্ব-পশ্চিমের দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট, উত্তর-দক্ষিণের প্রস্থ ৮১ ফুট এবং সামগ্রিক আয়তন ৫ হাজার ২৬৫ বর্গফুট।

সৌন্দর্যের কুঞ্জ-কাঠিতে ভরা এ মসজিদ নির্মাণে ২০২০ সালে যৌথভাবে উদ্যোগ নেয় সেনাবাহিনী ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সাজেকের রুইলুইপাড়ায় হ্যালিপ্যাডের পাশে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক চট্টগ্রাম ডিভিশনের তৎকালীন জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান। এরপর নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগে ঠিক দুই বছর। বর্তমানে মসজিদটি পরিচালিত হচ্ছে সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।

দারুস সালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতীব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘২০২২ সালের পহেলা রমজানের এশা এবং খতম তারাবির নামাজের মাধ্যমে এই মসজিদে সালাত আদায়ের সূচনা হয়। বর্তমানে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের পাশাপাশি জুমা এবং খতম তারাবির নামাজ আদায় করা হয় এখানে। তারাবির জন্য গত দুই বছরের মতো এবারও দুজন হাফেজ নিয়োগ করা হয়েছে। এসব জামাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অসংখ্য পর্যটক অংশ নেয়।’

সাজেকে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়। আর বিশেষ ছুটির দিনগুলোয় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০ গুণ। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ইসলাম ধর্মাবলম্বী পর্যটক। মসজিদ না থাকায় এত বছর নামাজ আদায়ে বেশ বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে ধর্মভিরু মুসলিম পর্যটকদের। তবে এখন স্বাচ্ছন্দ্যেই এই মসজিদে সালাত আদায় করতে পারেন সাজেক ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। প্রকৃতির অবারিত সবুজের মাঝে সুনসান পরিবেশে এমন সৌন্দর্যমণ্ডিত উপাসনালয়ে আরাধনার সুযোগ পেয়ে পর্যটকরা দারুণ উচ্ছ্বসিত।

রাজধানী ঢাকা থেকে সাজেক ঘুরতে আসা পর্যটক সোহেল আরমান বলেন, ‘চার বছর আগেও একবার এখানে এসেছিলাম। মসজিদ না থাকায় তখন জামাতে সালাত আদায় করতে পারিনি। তবে এবার এসে মসজিদের এমন নীরব-নির্মল পরিবেশে সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করতে পেরে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করছি।’

দারুস সালাম মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক যুবরাজ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন, স্থানীয় কটেজ-রিসোর্ট-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী এবং পর্যটকদের দান-অনুদানে এই মসজিদের সার্বিক ব্যয় মেটানো হয়। উঁচু পাহাড়ের কারণে সাজেকে পানি পাওয়া যায় না। ফলে মসজিদের ওজুসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার্য সব পানি কিনে ব্যবহার করতে হয়। প্রতিদিন এই মসজিদে গড়ে ৫ হাজার লিটার পানি লাগে। আর প্রতি লিটার পানিতে ১ টাকা করে দৈনিক ৫ হাজার টাকা খরচ হয় পানি বাবদ। এ ছাড়া আরও আনুষঙ্গিক অনেক খরচ রয়েছে। তবে ব্যয়বহুল হলেও সবার সহযোগিতা নিয়ে এই মসজিদে নিয়মিত সালাত আদায় হচ্ছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত